image1 image2 image3

HELLO I'M MEHEDI HASAN SHOHUG|WELCOME TO MY PERSONAL BLOG|I LOVE TO DO CREATIVE THINGS|I'M WEB DEVELOPER|I'M PROFESSIONALY ENGINEER

শুধু ভাবনাগুলোকে পরিবর্তন করে নিন!!!

১। যারা জীবনে বড় কোন বাধা কিংবা ব্যর্থতা আসলে হতাশ হয়ে পড়েন। ভাবেন সব শেষ তাদের জন্য নিচের লাইনটি। মনে রাখতে পারেন সবসময়।
পা পিছলে পড়ে যাওয়া লজ্জার কথা নয়।
বরং যথা সময়ে উঠে না দাঁড়ানোই লজ্জার ব্যাপার।

২। আজ থেকে ২-৩ বছর আগেও কারও সাথে ঝগড়া হলেই সেই ঝগড়াতে জিততে চাইতাম। এখনও তর্কে জিততে না পারলে নিজের পেট গুড় গুড় করে। তবে নিজেকে পরিবর্তন করেছি। ভাবতে শিখেছি, তর্কে জেতাতে কোন কৃতিত্ব নাই। আমি নিজেকে সেই ব্যপারে পরিবর্তন করে ফেললেও আশেপাশের অন্যদেরের মধ্যে এই অভ্যাসটা অনেক বেশি দেখি। এধরনের বন্ধুদের জন্য নিচের এ বানী।
তর্কে জেতা বুদ্ধিমানের কাজ নয়
বরং বুদ্ধিমানের কাজ হল তর্কে না জড়ানো।

৩। মাঝে মাঝে আমার কিছু বন্ধুদের দেখি , যারা সবার উপকারের জন্য তার মূল্যবান সময় থেকে কিছু সময় বের করে হয়ত কিছু করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমাদের বাঙ্গালীদের স্বভাব হচ্ছে কারও সমালোচনার করার সুযোগ বের করা। ভাল কিছু করলেও সেখানে সমালোচনা করার কোন না কোন অপশন খুজে সে বের করবেই। সেজন্য আমার সেইসব বন্ধুরা হয়ত এ বিষয়টি দেখে খুব আপসেট হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে, যে আর কখনও মানুষের জন্য কিছু করবেনা। আমি নিজেও যে এরকম দেখলে হতাশ হইনা তা বলবনা। তবে অন্যদের চাইতে কম হই। কারন আমি সবসময় ভাবি নিচের কথাটি।
তুমি যতটা মূল্যবান ততটা সমালোচনার পাত্র হবে।

৪। যারা নিজেকে অনেক বেশি বুদ্ধিমান ভাবে, তারাই জীবনে ভুল বেশি করে, বোকামী করে। তাই এসব বুদ্ধিমানদের সচেতন করার জন্য আমি বলব।
বুদ্ধির সীমা আছে কিন্তু বোকামীর কোন সীমা নেই।

৫। আপনি কি খুব হতাশ? মানুষ আপনাকে চিনতে পারলনা। ভুল বুঝছে সবাই? তাহলে মনে রাখুন,
জ্ঞানী মূর্খকে চিনতে পারে কেননা সে জ্ঞানী।
পক্ষান্তরে মূর্খ জ্ঞানীকে চিনতে পারে না, কেননা সে মূর্খ।

৬। প্রত্যেকের জীবনেই বন্ধুর প্রয়োজন আছে অনেক বেশি, তবে সেটি হতে হবে প্রকৃত বন্ধু, যে আপনার বিপদে সবার আগে এগিয়ে আসবে। আপনার বিপদে যাকে আশেপাশে হারিকেন দিয়েও খুজে পাওয়া যায়না। তাদের ব্যাপারে এখনই সচেতন হন। তবে আবারও বলি এজন্য বন্ধু ছাড়া কখনই চলবেননা। কারণ হচ্ছে,
বন্ধুত্ব একটি ছাতার ন্যায়।
বৃষ্টি যতই প্রবল হয় ছাতার ততই প্রয়োজন হয়।

৭। মানুষ মাত্রই ভুল করে। অনেক বড় একটি ভুল করে হয়ত নিজেকে অনেক বেশি তিরস্কার করছেন। আরে ভাই ভুল না করলে পরবর্তী সঠিক কাজটি কিভাবে করবেন? মনে রাখবেন-
ভূল করা দোষের কথা নয়
বরং ভূলের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা দোষণীয়।
৮। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে গিয়ে আমরা প্রত্যেকেই অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আর এ ব্যস্ততার লাইফে তখন মনে করা শুরু করি, কাজের বাইরে কারও সাথে সম্পর্ক রক্ষা করা মানে সময়ের অপব্যয় করা। ভুলে যান আপনার এ ভুল ভাবনাটি। যখন অর্থ উপার্জনটাই আপনার টার্গেট, তখন আপনাকে আরো বেশি মানুষের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করতে হবে। শুধু তাইনা, বন্ধুত্বের সম্পর্ককে মজবুত করার জন্য বিভিন্ন তাদের সাথে দেখা হবে এরকম সকল প্রোগ্রামগুলোতেও অংশগ্রহণ করতে হবে। ব্যস্ততার জন্য যারা বন্ধুত্বের সম্পর্ককে অপ্রয়োজনীয় মনে করেন, তাদের জন্য বলছি।
মানুষের সাথে বন্ধুত্ব ছিন্ন করে অর্থ উপার্জন করতে যেও না।
কারণ, বন্ধুত্ব স্থাপনই অর্থাপর্জনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

৯। আপনি যদি সবার সাথেই ভাল সম্পর্কে রাখতে চান, সবার কাছে প্রিয় পাত্র হতে চান, তাহলে নিচের কথাটি মনে রাখুন এবং নিজের মধ্যে প্র্যাকটিস করুন।
মানুষের সাথে সে রূপ আচরণ কর যেমন তারা পছন্দ করে।
নিজের পছন্দ মাফিক আচরণ কর না।

১০। কেউ আপনার সাথে অত্যন্ত অন্যায় আচরণ করেছে? আপনি তাকে কিছু বলতে পারেননি। এজন্য নিজের উপর অনেক আফসোস হচ্ছে, তাইনা? হুম, কিছুদিন আগে আমার পরিচিত খুব আপন দুইজনের সাথেও এরকম কিছু অন্যায় হয়েছে। তারা চাচ্ছিল, আমি সেটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেই। কিন্তু আমি রহস্যজনকভাবে কিছুই করিনি দেখে, তারা আমার উপর মন খারাপ করেছিল। আমি কেন কিছু করিনি? কারন আমি বিশ্বাস করি নিচের কথাটি।
আহম্মকের সাথে তর্ক কর না।
কারণ,মানুষ হয়ত দুজনের মাঝে পার্থক্য করতে ভূল করবে।

১১। আপনার সাথে কেউ বেয়াদবি করেছে, দেখে হয়ত খুব ক্ষেপে গিয়েছেন। কিন্তু জেনে রাখুন, যে বেয়াদবি করেছে, তাকে আপনি কোন ভাবেই দোষারোপ করতে পারেননা। কারণ সমস্যাটা আসলে আপনার নিজেরই। আমার কথা শুনে অবাক হচ্ছেন? আমার কথার পিছনে অবশ্যই যুক্তি আছে। যুক্তি হচ্ছেঃ
তোমার পিঠে কেউ ততক্ষণ পর্ন্তত চড়তে পারবে না
যতক্ষণ না তুমি পিঠ নিচু কর।

১২। আপনার ধারণা আপনাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন হচ্ছেনা। তাহলে সেই মূল্যায়ন পাওয়ার জন্য আপনার কাজ দেখিয়ে খুশি করার চেষ্টা শুরু করুন। অবশ্যই একদিন মূল্যায়ন হবেই। আমি অবশ্যই বিশ্বাস করি।
যে অধিকার আদায়ের পেছনে চেষ্টা চালানো হয়
তা কখনই বৃথাযায় না।

১৩। আমিতো আইটি বিষয়ক ট্রেনিংয়ের সাথে জড়িত আছি। সেখানের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, অনেকে আউটসোর্সিংয় করবে, এ আশা নিয়ে আমাদের কাছে কোর্স করতে আছে। কিন্তু কোর্স করার সময় যখন প্রেসার পড়ে, তখন তারা কোর্সটি শেষ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাদের জন্য ইমাম মুসলিম (রহ.) এর এ বানীটি মনে রাখার উপদেশ দিচ্ছি।
ইমাম মুসলিম (রহ) বলেন:
“শরীরকে আরামে রেখে জ্ঞানার্জনকরা সম্ভব নয়।”

১৪। কোন কোন সময় ছোট ছোট অন্যায়ও অনেক বড় বিষয় হয়ে দাড়ায়, কারণ যার সাথে অন্যায় করেছেন, তিনি হয়ত অনেক বড় একজন ব্যক্তি। এ বিষয়ে বেলাল বিন রাবাহ (রহ.) এর একটি বানী মনে পড়ে গেল।
বেলাল বিন রাবাহ (রহ) বলেন:
“পাপ ছোট কি না তা দেখনা
বরং দেখ যার অবাধ্যতা করছ তিনি কত বড়।”

১৫। দুনিয়া থেকে আর কতকিছু নিবেন? এবার নিজের যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে সমাজকে কিছু দেওয়ার চেষ্টা করুন। নিচের বানীটি কি আগে কোথাও শুনেননি?
রাফেঈ বলেন:
“যদি তুমি দুনিয়াকে নতুন কিছু উপহার দিতে না পার
তবে তুমি দুনিয়ার একটি বোঝা।”
সবশেষঃ আমার ফেসুবকের ABOUT এ গেলে Favourite Quotations এ দুটি ইংরেজী কটেশন দেখতে পাবেন। আমি যখন অনেক বিপদে পড়ি, কোনভাবেই বিপদ থেকে উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা দেখিনা। তখন এটি আমি নিজে বার বার পড়ি, যাতে নিজের মনের শক্তি ফিরে পাই। আপনাদের সাথে সেটি শেয়ার করছি।
- “Sometimes all doors maybe closed for you but remember they aren’t locked “
- “Difficulties in your life do not come to destroy you, But to help you realize your hidden potential and power, Let difficulties know that you too are difficult.”

কি বুঝলেন? না বুঝলে খুব মনোযোগ সহকারে সময় নিয়ে পড়ুন। এবার নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে দেখুন, নিজেকে প্রশ্ন করুন। দেখবেন নিজের মধ্যে অনেক পরিবর্তন আনতে পারবেন।

Share this:

CONVERSATION